আমার হিমালয় দেখা – ০২

নেপালের কাঠমুন্ডুরর ‘ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর’ খুব ছোট আর ছিমছাম বলা যায়। অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে ইমিগ্রেশন শেষ করেই এয়ারপোর্টে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ করে করলাম। দিল বাহাদূর ভাইকে ফোন করে বলতে হবে যে আমি চলে এসেছি। ফোনে চেষ্টা করেও পেলাম না। ভাবলাম হয়তো পথে। তারপর আম্মু আর আপুকে নিরাপদে পৌঁছানোর কথা জানিয়ে বাহিরে চলে এলাম।

ছিমছাম ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

বাহিরে বেরুতেই হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। এই ঠান্ডার সাথে আমি একেবারেই পরিচিত নই। শরীরে তিন স্তরের শীতের পোশাকের উপর স্নো-কাটার পড়ে নিয়েও যেন আমার শীত কমে না। মাথায় পশরের সবুজ রঙের টুপিতেও কান যেন গরম হয় না। এয়ারপোর্টের সাথেই লাগোয়া ক্যাফে থেকে এক কাপ গরম গরম চা নিলাম। Rakura, the finest Himalayan Tea. চা হাতেই ক্যাফের ম্যানেজারের সহায়তায় দিল বাহাদূর দাদাকে ফোনে পাওয়া গেল। আমার ধারণাই সত্য হল, তিনি পথে আছেন৷ আমাকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকতে বললেন। তিনি সেখান থেকেই আমাকে তুলে নিবেন।

Rakura, THE FINEST HIMALAYAN TEAS

দিল বাহাদূর দাদা মূল একজন ট্যুর এজেন্সীর মালিক। তার নিজস্ব হোটেল থেকে শুরু করে মানি এক্সচেঞ্জ সবই আছে। উনি ছিলেন নেপালে আমার গাইড এবং অভিভাবক। এর আগে আপু যতবার নিউজ কভার করতে নেপাল গিয়েছিল দিল দাদা ছিল আপুরো গাইড। এভাবেই আপুর গাইড থেকে আমার গাইড হয়ে গেলেন আর সাথে অভিভাবকের দ্বায়িত্বটাও।

এদিকে বেশ খানিকটা সময় গেলেও দিল বাহাদূর ভাইয়ের আরকোন খোঁজ নাই। আবার সেই ম্যানেজারের ফোন থেকে ওনাকে ফোন করলাম। এবার তিনি জানালেন ট্রাফিক জ্যামে ছিলেন। তবে আর মাত্র ২০-২৫ মিনিট লাগবে বড়জোড়। আমিও আশা নিয়ে অপেক্ষা করে গেলাম। দেখি নেপালের ২০-২৫ = কতক্ষণ। ভাবতে ভাবতে খানিক হাসলামো।

দিল বাহাদূর দাদা আসলেন। ৩০-৩৫ মিনিট পর। খুব বেশী দেরী হয়নি ভেবে ভালই লাগলো। এন্ট্রির খুব কাছেই তিনি গাড়ি থামিয়ে নামলেন। সাথে তার সহকারী। তবে আমি কিছুটা অবাক হলাম। কারণ তাদের হাতে গাঁদা ফুলের মালা। ভালো ও লাগলো। মনে হতে লাগলো, ট্যুর টা নিশ্চয়ই ভাল যাবে।আমিও আমার স্বভাবসুলভ সেল্ফি তুলে নিলাম। চারিদিকে অন্ধকার হতে শুরু করলো সাথে গাড়িতেও চড়ে বসলাম। উদ্দেশ্য থামেল। কাঠামুন্ডুর বিখ্যাত থামেল।

দিল বাহাদূর দাদা এর তার সহকারীর সাথে তোলা সেল্ফি

‘To She Knows Who’

তুমি নাই! কেউ ফোন দিয়ে বলে না! নীচে নামো, রিক্সায় ঘুরবো! ফোন না ধরলে কেউ বলে না, কোথায় ছিলাম? এই শহরে বৃষ্টিতে রিক্সার হুড তুলে কেউ উষ্ণতা নেয় না! কেউ।বলে না, চলো বিরিয়ানি খাব! পুরান ঢাকা চলো! কেউ বলে না, ফুলার রোডে বসবো! কেউ সুন্দর করে বউ সাজা শাড়ি পড়েও আর আসে না! কারো চুল খোলা মুদ্ধতা আর টানে না তুমি নেই তাই! কেউ অফিসের নীচে এসে বলে না, নামো লাঞ্চ করবো! খাইনি! তুমি নেই চুলে কেউ বিলি কেটে দেয় না! সব আছে, শুধু তুমি নাই! কাউকে জড়িয়ে কাদঁতেও আর পারি না! এভাবে কাউকে রেখে যেতে হয় না! বেবো! I know you are seeing this & I LOVE YOU for everything ❤

আমার হিমালয় দেখা – ০১

হিমালয়ের কথা প্রথম শুনেছিলাম ক্লাস ওয়ানে! ১৯৯৭ সালে! পৃথিবীর সর্বোচ্চশৃঙ্গ বলে কথা! নিজচক্ষে দেখতে প্রায় ২৩ বছর লেগে গেল!

গত (২০১৯) আগস্টে মেঘালয় থেকে আসার পর মনটা শুধু পাহাড়েই যেতে চাইছিল! ভাবলাম যদি পাহাড় দেখতেই হয় তবে সবচেয়ে উচুঁ পাহাড়টাই দেখা উচিত! শুরু হল প্রস্তুতি!

প্রস্তুতিটা খুবই মজার! অভির বাসায় আড্ডা দিচ্ছিলাম! বললাম চল নেপাল যাই! পাগলাটাও রাজী! ব্যস আর পায় কে! তবে সমস্যা এটা না! তার যে পাসপোর্টের মেয়াদ আছেই আর ৫ মাস! এখানে ওখানে ফোন দিয়ে সবাই বলে ইমিগ্রেশনে ফিরিয়ে দেবে! তোমাকে।তো বন্ধু ছাড়াই যেতে হবে! আমিও তো ছেড়ে দেবার পাত্র নই! আমি যদি যাই অভিও যাবে! ওরে বললাম, আমি আগে যাই! কথা বলি! ব্যাগ গোছায় রাখবি! আমি গিয়ে আগে কথা বলি!

২৪ জানুয়ারী,২০২০, দুপুর ০২ঃ৩০টার ফ্লাইটে উদ্দেশ্য নেপাল! হিমালয় দেখবো! বাস, ট্রেন, স্টীমারে দেরী করে যাওয়ার অভ্যাস এতটাই বদঅভ্যাসে পরিণত হইছে যে প্লেনটাই আরেকটু হলে মিস করতাম! এ বছরে ৩য় বারের মত।

ইমিগ্রেশনে গিয়েই জিজ্ঞাসা করলাম বন্ধুর পাসপোর্টের অবস্থা! পুলিশ অফিসার ভদ্রলোক এতটাই অমায়িক আমাকে বলেই ফেললেন, আপনার বন্ধু আশেপাশে থাকলে আসতে বলেন। একসাথেই গেলেন! যাক, অভিকে ফোন দিয়ে, বাসায় কথা বলে প্লেন! BG-069

অনেক ট্রাভেল ভ্লগে দেখেছি বাংলাদেশ থেকে নেপাল যাওয়ার সময় ডানপাশে বসলে হিমালয় দেখা যায়! হিমালয় দেখা শুরু! শ্বেত-শুভ্র হিমালয়! পেছনে হালকা অপাসিটির হালকা নীল আকাশ। প্লেনে এয়ার টার্বুলেন্স শুরু হতেই মেজাজটা হালকা খারাপ হল! এত সুন্দর দৃশ্য আর দ্বিতীয়বার দেখতে পারি নাকি। তার মতো মধ্যে উটকো ঝামেলা! দরকার ছিল না! প্লেন উড়ে চলে! আমিও মন্ত্রমুগ্ধের মত হিমালয় দেখি! নিজেকে খুবই তুচ্ছ মনে হয়! স্কেল ব্যাপারটাই ঘটনা ঘটায় ফেলছে!

এসব ভাবতে ভাবতে ককপিট থেকে ভেসে আসে! সেই চিরচেনা ত্রি-ভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক! প্লেন ৩০ মিনিট উপরে চক্রাকারে ভাসল। সেটিও কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১০ কিমি. দূরে। এয়ার ট্রাফিক ব্যাপারটাই ফালতু লাগে! আকাশেও শান্তি নাই এমন আর কি! তবে বাংলাদেশ বিমানের পাইলটদের উপর ভরসা রাখাই যায়! বিমান নামতে শুরু করল! রানওয়ের শেষপ্রান্তে গিয়ে থামলো বিমান। নেমে সামান্য হাঁটতেই চোখে পড়ল! WELCOME TO NEPAL 🇳🇵🏔💙🇧🇩

ডিপার্চার বোর্ডিং লাউঞ্জ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ✈
প্লেন থেকে হিমালয়! 💙

WELCOME TO NEPALT

To, SHE knows who

“অধিকার ছাড়িয়া দিয়া ধরিবার মত বিড়াম্বনা আর নাই”

এ এমন এক অধিকার যা ভুল শুদ্ধের অনেক উপরে! যেখানে পৃথিবীর শুদ্ধতম ভালবাসাগুলো আপন মনে পাখা মেলে উড়ে যায়! তবুও পথ চলতে হয় একা! বেচে থাকতে হয় একা! আর এই বেচে থেকে পথ চলার।নাম জীবন!

ঈশ্বরের বিরাগ!

মাঝে মাঝে হঠাত মাঝরাতে ঘুম ভেংগে যায়! ব্যাথায় কুকড়ে যাই! চারপাশে কী অন্ধকার! এসির ঠান্ডায় যেন লাশকাটা ঘর! জীবিত হয়ে মর্গে বাস করি ঈশ্বর তোমার এ কেমন বিচার পৃথিবীতে? যার যা প্রাপ্য না সেটাই সে পায়! ভুল-শুদ্ধ বুঝলা না! দোষী করে অনুশোচনার অথৈ সাগরে নিমজ্জিত প্রায়! ঈশ্বর, এরকম কি কথা ছিল? আমার প্রার্থনা তবে পৌছুনি তো? কি অদ্ভুত কারণে অজান্তে ঈশ্বরের বিরাগভাজন ই বা ক’জন হতে পারে!

সংগিতা

সংগিতা দেশ ছাড়বে! শেষবার ভালবাসতে চায়! একদম নিজের মত করে! মাহমুদ সেটা জানে বলেই দেখা করার কথা মুখেও আনে না! ভদ্রলোক আজীবন নিজের সততা, নীতি আর জেদের সাথে কম্প্রমাইজ করেননি!সংগিতা হয়তো খুব বড় শুভাকাক্ষি হিসেবে আজীবন রয়ে যাবে! হয়তো মাহমুদের খুব নিজস্ব একটা ভালবাসার জায়গা হিসেবেই রয়ে যাবে!মানুষটা তবুও মাহমুদের জীবনে থাক! জীবন থেকে চলে যাওয়া মানুষগুলোকে মাঝরাতে ঘুম ভেংগে পাশে না পাওয়ার যে তীব্র বেদনা সেটা মাহমুদের চেয়ে আর কে ভাল বোঝে!সংগিতার মেয়েটাকে আদর করার ইচ্ছাটা খুব করে মনে চেপে বসে! সংগিতার মতই মনে হয় হবে তার মেয়ে! মাহমুদভাবে আর হাসে! রাতের বাস ছুটে চলে! সামনেই বর্ডার! মাথার উপর দিয়ে মহাপতংগ উড়ে যায়! সংগিতা চলে যাচ্ছে মনে হয়! সংগিতাকে বিদায় দেওয়ার সাহস মাহমুদের কখনোই হবে না!বড় ভালবাসা এজন্যই দূরে ঠেলে দেয়!শরত বাবু আপনার উপন্যাসের মত কেন আমার জীবনটা হতে যাবে বলবেন? আমি তো কোনদিন কোন মানুষের ক্ষতি দূরে থাক! সামান্য কষ্টটুকু দেইনি! অজান্তেও না! তবুও তো যার যা ইচ্ছা সে তা করে গেল! মাহমুদ দেশ থেকে দূরে এক পাহাড়ী কটেজে! অনেক রাত! টিনের কটেজে বৃষ্টি পড়ে! আহা! মাহমুদের শৈশব!”পাপা, মামণি বলছে আজকে তোমাকে স্কুলে নিয়ে যেতে”সংগিতা, মাহমুদ আর ম্যাডামের খুব আদরের আর মাহমুদের খুব ভালবাসার কন্যা! বড় সন্তান তার! মাহমুদের দুইটা নূরের একটা তার মেয়ে সংগিতা! নামটার আসল ব্যক্তিটিও মাহমুদের জীবনের সেরকম! কে জানে আরেকটি নূর ই কি না!

Writer’s Thought

“যদি একজীবনে খুব ভালবাসার মানুষগুলো একের পর এক হারিয়ে যায় তাহলে জীবনের একটা সময়ে আপনি ভালবাসতে ভয় পাবেন! ভালবাসতে না পারার ভয় না, হারাবার ভয়। আমি সে ভয়ে ভীত” _ লেখক

Silence

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আকাশ দেখা অনেক পুরানো অভ্যাস! যাদের জীবনে অনেক কিছু বলার থাকে কিন্তু বুকে পাথর চেপে হাসতে ভালবাসে তাদের জন্য শেষরাত্রির আকাশের অন্ধকার ই একমাত্র সম্বল!

“Silence is the language of God, all else is poor translation” ~ Rumi

God are you listening?

Wish we were here….

রাত ৪ঃ১৫। মাহমুদ কেবল ঘুমিয়েছে। হঠাৎ ফোনে ভেসে ওঠে একটা নাম। Sangita নামটা। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ফোনের এফ এন এফ লিস্টে অ্যাড করা নাম।সংগিতার নামটা দেখে মাহমুদভাবে সে স্বপ্ন দেখছে। পরে আবার আরেকবার কল দেয়। ওপাশের সংগিতা নীরব। কি যেন বলতে চায়! কি যেন! মাহমুদ ম্যাসেজ পাঠায়, কেমন আছ?এরপর ৪.৫ বছরের যত রাগ অভিমান ক্ষোভ ঘৃণা একের পর এক মাহমুদের সেই পুরানো ভালবাসা আরো যেন বাড়িয়ে দেয়। ভোর রাত থেকে সকাল, তারা তাদের ২.৫ বছরের পাওয়া না পাওয়ার প্রেমের সময়টায় এরকম সময়েই কথা বলত। সেদিনের অফিস যেতে দেরী হয় মাহমুদের। দিনটা শেষ হয় না!সেদিন সন্ধ্যাতেই মাহমুদ-সংগিতা দেখা করে। সেই যেখানে থেমেছিল যেভাবে থেমেছিল ওভবেই ঠিক ওখানেই ওভাবেই শুরু হয়েছিল তাদের। পরীবাগের পুলিশ কনভেনশন সেন্টারের সামনে দেখা। সবুজ শাড়িতে কত পরিনত সংগিতা! ইচ্ছা হয় হাত বাড়িয়ে দেই! নাহ সেটা হয় না!”অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার ধরিবার মত বিড়ম্বনা আর নেই”সংগিতার চোখে সেই পুরনো মুগ্ধতা! মাহমুদ বলে অবজেশন! সংগিতা রেগে যায়! মাহমুদ বোঝে সংগিতা তার জীবনে সেই মানুষ যার জন্য সংগিতা সব কিছু করতে রাজি! সবকিছু! সব! জীবন দিতে পারে সে মাহমুদের জন্য!তবে সবকিছুর জন্যই সময়টা অনেক দেরী!সংগিতা যেদিন বেড়িয়ে এসেছিল সবকিছু ছেড়ে নিজের ভালবাসা জয় করবে, সেদিনটি খুব সম্ভবত মাহমুদকে আজীবন মনে রাখবে!সি এন জি’তে মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারের প্রথমবাকে অন্ধকারে সংগিতা সেই যে জড়ায় ধরলো মাহমুদকে! আর ছাড়তে চায় না! ঈশ্বর! এভাবে কেউ শেষ লেখে?পুরানো ভালবাসা নতুন করে ফিরে এসে বিলে যায়, ভালবাসা মরে না! অন্যকারো ঘরে অন্যকারো সাথে তা থেকে যায় নিজের হয়ে!সংগিতা একে অন্যের বাগদত্তা স্ত্রী! যে হাতটা একটা সময় শুধুই নিজের ছিল এখন সেটাও আর নেই! তাই বার বার ধরতে চেয়েও হৃদয় চেপে রাখে! শেষমেষ ভাল না বেসে থাকতে পারেনি! তার সংগিতা বলে কথা! মাহমুদের জীবনের প্রথম না কিন্তু শেষ প্রেম এবং সত্যিকার প্রেম!সংগিতা মাহমুদের সাথে আজীবন থাকবে বলে বাড়ি ছেড়ে বাহির হয়ে আসলো! রাত ১১ঃ৩০ এ মাহমুদ তাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে আসে! মেয়েটা যেতে চায় না! ঈশ্বর! আমার প্রতি তবে এমন হল?সংগিতার আর তার পাত্রপক্ষের পরিবারের কথা ভেবেই নিজের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে সে নিজেই নিজের হতে দেয়নি!২০১৮, ১৭ নম্ভেবরের ঘটনা এটি!জানুয়ারী ৪…. সংগিতার বিয়ে হয়!ভালবাসা মরে যায় না! শেষ হয়েও যায় না! পচেও না! পরিবর্তিত হয়! এক হৃদয় থেকে অন্য হৃদয়ে ভেসে বেড়ায়! শরতের মেঘের মত!ঠিক যেন কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি!হেড ফোনে বেজে যায়,”Wish you were here”…..বাহিরে তুমুল বৃষ্টি! ম্যাডামকে আলতো করে জড়িয়ে ধরতেই সে বলে ওঠে,”আজকে ছুটির দিন, বাহিরে বৃষ্টি পড়ছে, এত সকালে উঠতে হবে না, ঘুমায় পরেন তো! আসেন একটু জড়ায় ধরে ঘুমান”১৭ নভেম্বর, ২০২১ছুটির সকালে প্রচন্ড বৃষ্টি, ম্যাডামকে আলতো জড়িয়ে ঘুমিয়ে যায় মাহমুদ! স্বপ্ন দেখতে দেখতে হারিয়ে যায়! ভাবে, জীবন তুমি এত্ত সুন্দর!

The person, between the garden of right and wrong 01

তিনি ছিলেন কন্যা রাশির জাতক! শৈশব পুরোটাই কাটে হারেমের পুরু দেয়ালের আবদ্ধে!
মাত্র ৫ বছর বয়সেই এক পরীর সাথে হেব্বি সখ্যতা শুরু করেছিলেন! সেটি নাকি আবার তার বাবাও বুঝতে পেরেছিলেন!
সেই থেকে নাম দিলেন জালালুদ্দিন, বিশ্বস্ততার মূর্ত প্রতীক! বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শাসনকাল ছিল শৈশবের সময়কাল! রোম > রুমি নামটা সেখান থেকেই নেওয়া! পরে নামের আগে যুক্ত করেন মাওলানা বা শিক্ষক!
এই হলেন সুফী দার্শনিক প্রেমিক কবি মাওলানা জালালুদ্দিন মুহাম্মদ রুমি!

from the book of Brad Gooch _ Rumi’s Secret

“No one understood him properly. He came as a stranger and left as a stranger” _ Author

“অদ্ভুতভাবে তার নিজের এপিটাফে নিজেই রচনা করে গেছেন,

“If you visit my grave,

My tomb will make you dance,

Be sure to bring a tambourine”